কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়ার ছনখোলার ঝুম এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। করোনা সংকটে পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় বন বিভাগ ও প্রশাসনের কর্মব্যস্ততার সুযোগে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ছনখোলার ঝুম এলাকায় পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে ও তৈরি করা হচ্ছে দালান।বিগত ৪/৫ বছর ধরে দেদারসে কাটা হচ্ছে পাহাড়।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারবাকিয়া রেঞ্জ অফিসের উত্তর-পূর্ব দিকের সামান্য অদুরে যত্রতত্র কাটা হচ্ছে পাহাড় ও ঢিলা। গড়ে ওঠেছে কাঁচা-পাকাসহ অসংখ্য ঘর। পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তা ও অন্যান্য স্থাপনা।
স্থানীয়রা জানায়, করোনা বিগত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় জেল ফেরৎ বনদস্যু জাহাঙর্গীর ও প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার নেতৃত্বে দেদারসে পাহাড় কেটে বালু বিক্রি ও ঘর বাড়ি নির্মাণ করার হিড়িক পড়েছে। পাহাড় ও ঢিলা কেটে একাধিক স্থানে ন্যাড়া করে ফেলা হয়েছে।এসব বালু বারবাকিয়া রেঞ্জ অফিসের সামনের রাস্তা দিয়ে ডাম্পার গাড়ী যোগে এসব বালি বিক্রি চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়,প্রশাসনের কর্ম ব্যস্ততার সুযোগে পাহাড় কেটে এবং ছড়ায় পাম্প মেশিন বসিয়ে নির্বিঘ্নে চলছে বালু উত্তোলনের উৎসব। পাহাড় কাটায় বনবিভাগের অনেকেই জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলেও সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারেনি। পাহাড় কাটা ও ঘর নির্মাণে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে পাহাড় খেকোরা অতি উৎসাহিত হয়ে যত্রতত্র পাহাড় কাটায় অনেকটা নিরাপদ মনে করছে।
দেখা যায়, অত্র ইউনিয়নের ভারুয়াখালীর ছনখোলার ঝুম এলাকায় গড়ে ওঠেছে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি। পাহাড়ের খাঁদে খাঁদে এসব বাড়ি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।এর মধ্যে বনদস্যু জাহাঙ্গীর পাহাড়ের পাদ দেশে গড়ে তুলেছে বিশাল দালান ও আর মাটির ঘর।পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নির্মাণ করা হয়েছে এসব ঘরবাড়ি। এভাবে পরিবেশ বিনষ্ট হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় কেটে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আশানুরূপ কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবাদীরা।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোল্লা আবদুল গফুর বলেন, পাহাড় কেটে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার নজরে থাকলেও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের অসহযোগীতার কারণে পাহাড় কর্তন ও বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। কয়েকবার অভিযানও পরিচালনা করা হয়েছিল।
পেকুয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার সাঈকা সাহাদাত বলেন, পাহাড় কাটার কারণে পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। পাহাড় কর্তনকারী যেই হোক না কোন ছাড় দেওয়া হবেনা।
তিনি আর ও বলেন, করোনা সংকটের সুযোগে যত্রতত্র পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বলে শুণেছি। এসব শক্ত হাতে দমন করতে হবে। সরকারি পাহাড় কাটা বন্ধ করতে শীগ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।