রামুর দূর্গম জনপদের ভিতরে একটি ইউনিয়ন কচ্ছপিয়াতে গত কাল রাত থেকে বন্যা প্লাবিত পানি বন্দী হয়ে আছে হাজার হাজার মানুষের। আজ
সকাল গড়িয়ে দুপুরের বেলা বাড়ার সাথে সাথে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপির নির্দেশে বণ্যা কবলিত কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লায় গিয়ে চাল,ডাল,চিনি,চিড়ামুড়ি সহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। সারাদিন যেমন কর্মব্যস্ততায় কাটিয়েছেন একজন চেয়ারম্যান। এমন যদি সব চেয়ারম্যান হত তাহলে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার বাংলায় কোন নাগরিক এক বেলা ও না খেয়ে থাকত না। কোন নাগরিক দুর্চিন্তায় থাকত না দাফন কাপনের সঠিক ভাবে ব্যবস্হা হবে কিনা? বন্যায় গতকাল অথবা আজ যে কোন সময়ে বাকঁখালী নদীর পানিতে পড়ে প্রাণ হারাণ অপরিচিত বয়স্ক জনৈক পাগল মহিলা। বেওয়ারিশ লাশ নদীর পানিতে ভেসে যাচ্ছে। সবাই নির্বাক দৃষ্টিপথ দিয়ে দেখছে কেউ লাশ টি উদ্ধারে এগিয়ে আসল না। খবর পেয়ে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল নোমান লোকজন নিয়ে বাকঁখালী নদী থেকে মহিলার লাশ টি উদ্ধার করলেন। খোঁজখবর নিয়ে ওই মৃত মহিলার ওয়ারিশ না পেয়ে নিজেই দাফন কাপনের ব্যবস্হা করলেন।চলমান করোনা পরিস্থিতিতে যখন মানুষ মানুষ কে এড়িয়ে চলছে তখন মৃত মহিলার দাফন-কাপনের মানবিক কাজটি করলেন। সত্যি বিপদে বন্ধুর পরিচয় দিলেন চেয়ারম্যান নোমান।শুধু কি দাফন -কাপনের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ! যদি এমন দায়িত্বশীল চেয়ারম্যান সব ইউনিয়নে থাকত তাহলে এই কঠিন সময়ে অসহায় দরিদ্র ও বণ্যা কবলিত মানুষের আহাজারি বহুলাংশে কমে যেত।