১৩ জুন – অত্যধিক করোনা সংক্রমণ এলাকায় (রেড জোন) মুসলমানদের নামাজসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা ঘরে বসেই করতে হবে। মসজিদ কিংবা অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে সমবেত হয়ে প্রার্থনা করা যাবে না।
১. ভয়ানক করোনা সংক্রমণ রোধ লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম ছাড়া অন্য মুসল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
২. উল্লিখিত এলাকায় মসজিদে জামাত চালুর প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং জুমার জামাতে সর্বোচ্চ ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাইরের কোনো মুসল্লি মসজিদের জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।
৩. একই সঙ্গে উল্লিখিত এলাকাসমূহে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
৪. এ সময়ে সারাদেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলিগ তালিম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, জিকির ও দুয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।
৫. অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাও এ সময়ে কোন ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সব ধর্মের মূলনীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এ নির্দেশনা জারি করা হলো। উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানানো হলো। কোনো প্রতিষ্ঠানে সরকারি এ নির্দেশ লঙ্ঘিত হলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে।