বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে মাছধরার সময় সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড যৌথ অভিযান চালিয়ে ১০৩টি অবৈধ জাল জব্দ করেছে এবং জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। সোমবার(১ জুন) দিনভর কর্ণফুলী নদীর মোহনা হতে উপকূলের বর্হিনোঙ্গর সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে মাছধরার সময় সোমবার(১ জুন) দিনভর কর্ণফুলী নদীর মোহনা হতে উপকূলের বর্হিনোঙ্গর সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সমুদ্র উপকূলে পুঁতে রাখা ৮০টি মোহনা বেহুন্দী জাল দৈর্ঘ্য ৮,০০০ মিটার, টং জাল ০৩টি দৈর্ঘ্য ৯০০ মিটার, মোশারী জাল ২০টি দৈর্ঘ্য ১,১০০ মিটার মোট ১০৩ টি অবৈধজাল জব্দ সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। জব্দকৃত জালের আনুমানিক দৈর্ঘ্য ১০,০০০ মিটার এবং আনুমানিক মূল্য ২৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা যা বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ১৫ নং জেটিতে এনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। যৌথ অভিযানে সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক সুমন বড়ুয়া নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করেন পরিদর্শক মো. জহিরুল হক, মো. জাকির হোসেন, মো. আলতাফ হোসেন, মো. এয়াছিন মজুমদার, মো. মনজুর আলম, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্বজোনের স্টাফ অফিসার(অপারেশন্স) লে. কমান্ডার সাইফুল ইসলাম, চীপ পেটি অফিসার আওলাদ হোসেন।
সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক সুমন বড়ুয়া বলেন, যৌথ অভিযানে জব্দকৃত ১০৩টি অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ রক্ষা এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।