টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের স্থানীয় জনগোষ্ঠি রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভয় ও আতংকে রয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলো স্থানীয় লোকজনদের ধরে নিয়ে গিয়ে মোটা অংকের টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে।মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারলে খুন করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দিন পার করে যাচ্ছে স্থানীয়রা।
গত ১মাসের মধ্যেই হোয়াইক্যং মিনাবাজার গ্রামের বাসিন্দা
মোহাম্মদের পুত্র মোঃ শাহেদ (২৬) মৌলভী আবুল কাসেমের পুত্র আক্তার উল্লাহ(২৮)এবং উলুবনিয়া গ্রামের মিয়া রশিদের পুত্র আবদুর রশিদ(২৩) এই তিনজনকে অপহরণ করার পর মুক্তিপণ না পেয়ে রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের নির্মমভাবে খুন করে।
এসব সন্ত্রাসীদের কারণে মানুষ পাহাড়ের আশপাশে সহ চিংড়ি ঘেরে মাছ শিকার করার জন্য যেতে পারে না। যে কোন সময় কাউকে না কাউকে অস্ত্রে মূখে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। এই রোহিঙ্গারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে রমরমা মাদক বাণিজ্যও করে যাচ্ছে।
রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত পরিবারের সদস্যদের দাবি, আমাদের সন্তানদের রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায়। এবং তাদের দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারাই আমাদের সন্তানদের নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। সরকারের কাছে এই হত্যার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির
দাবি জানাচ্ছি।
টেকনাফ হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপের অত্যচার, খুন,অপহরণ দিন দিন বেড়ে চলছে।তাদের বেপরোয়া কর্মকান্ডর কারণে স্থানীয়রা হুমকির মধ্যেই রয়েছে।গত এক মাসে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা স্থানীয় তিনজন
যুবককে নির্মম ভাবে খুন করে।এখন স্থানীয় জনগোষ্ঠি ভয় ও আতংকের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছে।এসব রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিষয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।